মানিকগঞ্জে বালু মহালের সীমানা এলাকার বাহিরে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তলনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পদ্মা নদীতে বালু মহালের ইজারা পান উপজেলা চেয়ারম্যানের এক আত্মীয়। ইজারা পাবার পর হতেই নিধারিত এলাকায় বালু উত্তলোন না করে প্রায় দুশো কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা নদী ভাঙ্গন রোধে বেড়ীবাঁধের নিকটবর্তী এলাকায় ড্রেজায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনগণ নিষেধ করেন এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে স্থানীয় প্রাশসন কে মৌখিকভাবে আবগত করেন, ইউএনও সাহেব অভিযানে গেলে পূর্ব হতে অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ড্রেজার সরিয়ে ফেলে। উপজেলা চেয়ারম্যানের পালিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ কিংবা ভিডিও করতে গেলে মারধরের ও হুমকির ভয়ভীতি দেখায়, বালু মহালের পাশে দিয়ে যেকোনো বালু বাহর ভলগেট উজিয়ে সিরাজগঞ্জ কিংবা রাজবাড়ী মোটা বালি আনতে যেতে চাইলে ইজারাদারের সন্ত্রাসীরা তাদের জোর পূর্বক বালু লোড করতে বাধ্য করেন, না হলে চাঁদ দাবি করেন, এব্যাপারে বালুবাহী ভলগেট সমিতির পক্ষ হতে সকল দপ্তরে চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ করেন, সেই চিঠি প্রেসক্লাবেও দিয়েছেন।
বুধবার (৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজার গালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্য্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জড়ো হয় এবং আগামীদিনের রাজনৈতিক কর্মকৌশল নির্ধারণে বিষয়ে ছাত্রলীগের৷ নেতৃবৃন্দ পার্টি অফিসের সামনে দাড়িয়ে কথা বলতেছিলো অর্তকিত ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের পালিত সন্ত্রাসী রবিউল ইসলাম রাজা ও বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সুজন সহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোটা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাকিম চৌধুরী রিফাতের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুল আজিজ বাড়ি ফেরার পথে লেছড়াগঞ্জ বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যানের পালিত সন্ত্রাসী সহ বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী কলাসীর শাহীন হামলার ঘটনা ঘটায় বলে বলে জানিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান।
ছাত্রলীগ নেতা শেখ ফয়েজ চালা বাজারে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সাথে কথা বলতে ছিলো সেসময় উপজেলা চেয়ারম্যানের পালিত সন্ত্রাসী রান, নাসির সহ সন্ত্রাসীরা হামলা করে বলে জানিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আমীর হামজা জ্যোতি।
বাল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ ইন্তাজগন্জ দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় পথ আটকিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সুজন, জাকির, ছোট সুজন সহ কয়েকজন হামলা করেন বলে জানিয়েছেন হরিরামপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ এর আহ্বায়ক আমিনুর রহমান চৌধুরী মিল্টন।
রিফাত চৌধুরী, রশিদ ও ফয়েজ কে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার হোসেন বাচ্চু বলেন, আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুল আজিজ হামলায় আহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কে বা কারা হামলা করেছে জিজ্ঞেস করলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আহত মুস্তাকিম চৌধুরী রিফাত বলেন, আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম। এ সময় দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন আমার উপর হামলা করেছে। আমি মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি।
এদিকে আহত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজ বলেন, লেছড়াগঞ্জ বাজার থেকে আমি বাড়ি ফিরছিলাম। পথে অতর্কিতভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের ২০-২৫ জন লোক আমার উপর হামলা করে।
তবে উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান আরও দাবি করেন, বালু মহালের ইজারার বিরোধিতা করে ঝিটকা বাজারে আমার বিরোধীদের মানববন্ধনের কথা ছিল। সেই মানববন্ধনের বিরোধিতা করায় নাজমুল মোল্লা, শুভ, নাইমসহ চারজনকে মারধর করেছে মানববন্ধনের সমর্থনকারীরা।
স্থানীয়রা জানান, হরিরামপুরে পদ্মা নদীতে বালু মহালের ইজারা পেয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যানের এক আত্মীয়। তবে বালু মহালের সিমানার বিরোধিতা করে বুধবার বিকেলে ঝিটকা বাজারে মানববন্ধনের কথা ছিল। কিন্তু মানববন্ধনের পক্ষে ও বিপক্ষে ঝিটকায় দুটি পক্ষ অবস্থান নেওয়ার ফলে তা আর হয়নি। স্থানীয়রা আরও জানান উপজেলা চেয়ারম্যান ঝিটকা বাজারে জমি জবরদখল করে হাসি মার্কেট দখল করেছেন, ঝিটকা গরুর হাটের জায়গা দখল করেছেন, গতবছর অবৈধ ভাবে পদ্মা হতে বালু উত্তলন করে বিক্রি করেছেন সহ নানা অভিযোগ করেন।
হরিরামপুর থানা ওসি সুমন কুমার আদিত্য বলেন, মানববন্ধন শুরুর আগেই ঝিটকা বাজারে দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসিI