# উন্নয়ন সহযোগিরা প্রকল্পের অর্থ ফেরত নিয়ে যাচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)র চলমান প্রকল্প আইইউজিআইপি, কোভিড ১৯ রেসপন্স, সুপার ব্রিজ, জলবায়ু সহনশীল গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পসহ বেশ কয়েকটি চলমান প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি না থাকা ও অনিয়ম দুর্নীতি ও অযোগ্যদের নিয়োগ এবং কাজে অগ্রগতি না থাকার ঘটনায় এডিবিও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
অপরদিকে প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোঃ মহাসিনের চাকুরীর মেয়াদের শেষ সময় নিয়োগ ও বদলী বানিজ্যে অশান্ত হয়ে উঠেছে এলজিইডি ভবন।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানাগেছে, এসব প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক পদে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ না দিয়ে জুনিয়র প্রকৌশলীদের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগে প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোঃ মহাসিন সুপারিশ করেছেন।আর এসব করতে গিয়ে তিনি ঘুষ দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে।
সুপার ব্রিজ প্রকল্পে সেলিম মিয়াকে প্রকল্প পরিচালক পদে নিয়োগ প্রদান করে পরে বিশ্বব্যাংকের আপত্তিতে তিন মস পর প্রত্যাহার করেছেন প্রধান প্রকৌশরী সেখ মোহাম্মদ মহসিন। এই প্রকল্পের মেয়াদ ৭ বছরে সম্পূর্ণ হয়েছে অথচ কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ। এই প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি প্রমাণিত হয় ন্নয়ন সহযোঘী সংস্থা এই প্রকল্পের ৯০০ কোটি টাকা গত অর্থ বছরে ফেরত নিয়েছে।
অপর দিকে কোভিড ১৯ রেসপন্স প্রকল্পের পিডি নিয়োগ করা হয় বান্দরবানে কর্মরত তৎকালিন নিবার্হী প্রকৌশলী নাজমুল শাহাদাত মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। এই প্রকল্পের অগ্রগতি গত দু বছরে হয়েছে মাত্র দুই শতাংশ।
আড়াই হাজার কোটি টাকার কোটি কোটি বিশ্ব ব্যাংকের প্রকল্প মেয়াদ ছিল দুই বছর। এই প্রকল্প এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
এছাড়া এডিবি রক্ষণে বাস্তবায়িত আই ইউ জি আই পি প্রকল্পের পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল বারেককে। এখানেও অভিজ্ঞ এবং জ্যেষ্ঠতা মানা হয়নি। ফলে প্রকল্পের কাজে অনিয়ম অর্থ লোপাটের ঘটনার ঘটে চলেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোঃ মহামিনের চাকরির মেয়াদ শেষ পর্যায়ে নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যে এলজিইডি ভবন অশান্ত হয়ে উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে জেলাগুলোতে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদায়নের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য করেন প্রধান প্রকৌশলী ও তার নিয়োজিত সহকারীরা।