মোঃ মাহবুবুল আলম খানঃ
তৃনমুল পর্যায়ের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক। এখানে সাধারন মানুষের বিভিন্ন স্বাস্হ্য সেবা সহ গর্ভবতি মা থেকে শুরু করে ৩০ প্রকার ওষুধ দেওয়া হয়। যা তৃনমূল পর্যায়ে মানুষের সব ধরনের সেবা দিয়ে থাকি। এমন কি নবজাতক শিশু থেকে ডেলিভারির কাজ করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমরা যারা এখানে দায়িত্বে আছি তারা প্রায় দশ বছরে একই বেতনে চাকরী করে আসছি। আমাদের নেই কোন সুযোগ সুবিধা। সকাল ৯টা হতে ৩টা পর্যন্ত মানুষের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকি। আমাদের কেউ যদি এখুন মারা যাই আমাদের দুই টাকা শোক বাতা ছারা কিছুই পাইনা। অথচ আমরা যে কষ্ট করে মহামারি করোনা নিয়ে জীনের ঝুকি নিয়ে কাজ করে প্রায় ৭জন সহকর্মী কে হারাইছি অথচ আমাদের নেই কোন প্রনোদনা সকল মুজিব বর্ষে ছুটির দিন তাও আমরা সেবা দিয়ে থাকি এমন কি বিশেষ ছুটির দিন ও সেবা দিয়ে থাকি মানুষের সেবা দিয়ে থাকি। আমাদের দিকে অনেক আশার বানি শুনেছি, কিন্তু কোন ফল এখুন পযন্ত পাইনা। এমন হতাশা জীবন নিয়ে তারা অনেকে চাকুরি ছেরে অন্য কোথাও চলে গেছে। আমরা প্রায় ৪০০০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মেয়ে এই চাকুরিতে অবস্থান করছি। প্রায় ৪০ পারসেন্ট মহিলা আছে। আমাদের সাথে বি এম অফিস আমরা প্রায় ৪০ দিন ঢাকায় আমাদের দাবি আদায় করতে যাই কি যে কষ্টে সেই দিনগুলো এখনো মনে পরলে চোখ দিয়ে পানি আসে। অবশেষে চাকুরির দাবি করার জন্য আমাদের ৮ জন কে দীর্ঘ ৩ বছর সাসপেন্ড করে তারা অনেক মানবতায় জীবন যাপন করেছিল। অবশেষে মোহাম্মাদ নাসিম সাহেব আমাদের তখন স্বাস্থ্য মন্ত্রী ছিলেন তাকে ধরে অবশেষে সেই শোকজ তোলা হয়। এমন হতাশা নিয়ে অনেক সহকর্মী অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছে। মানুষের দৌড়গড়ায় যদি স্বাস্থ্য সেবা ঠিক রাখতে চাইলে আগে সি এইচ সিপির স্বাস্থ্য ঠিক রাখলে সাধারন মানুষ এই সেবা সঠিক ভাবে পাবে আমি মনে করি। বাংলাদেশের একমাত্র কমিউনিটি ক্লিনিক আছে বলে দেশে মাতৃমৃত্যু কমেছে এমন কি শিশু মৃত্যু কমেছে। আমাদের জন্য সে সাউথ সাউথ পুরুস্কার পাইছেন। কমিউনিটি ক্লিনিক এখুন বিশ্বে রোল মডেল হিসাবে আখ্যায়িত হয়েছেন। আমার মনে হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিষয়ে হয়তো সে জানে না যে আমরা কত কষ্টে আছি। তাই তোমাদের কলমের জোরে যদি কিছু করতে পারো আমাদের জন্য সারাজীবন ১৪ হাজার পরিবার তোমাদের মনে রাখবে। কারন তারা তো তোমাদের ভাই কেউ না কারো আত্বীয়। কলমের শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি তোমারা পারবে আমাদের বেচে থাকার দু বেলা ডাল ভাতে খেয়ে বেচে থাকার জন। ধন্যবাদ ভাল থেক।