শিরোনাম
বৃষ্টি কবে থামবে, যা জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর অলিতাজ মনি”র ক‌বিতা গুচ্ছ অচল পয়সার বিটিভির ডিজি, জিএম, পিএম(সংগীত) সিন্ডিকেটের অডিশন বাণিজ্যের কোটি কোটি টাকা লেনদেনের ফোন আলাপ ফাঁস : ভুয়া বিল-ভাউচারে শিল্পী সম্মানির ১৩.২৮ কোটি টাকা গায়েব হরিরামপুরে যুবলীগ নেতার ওপর হামলায় মামলা দায়ের হরিরামপুরে যুবলীগ নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত রফিকের প্রবাসী বাঙালিদের নিয়ে ‘মিথ্যাবাদী’ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জয়বাংলা সাংবাদিক মঞ্চের শ্রদ্ধা নিবেদন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী তানজিদ উল্লাহ প্রধান লিল্টুর গণসংযোগ আধুনিক উপজেলা রুপান্তরিত করতে চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম মোল্লা
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
add

গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতায় সংবিধানের ‘৭০ অনুচ্ছেদ বাঁধা নয়…?

রিপোটারের নাম / ৩৩৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩
add

মোঃ সাইফুল ইসলাম, সমাজকর্মী, সিরাজগঞ্জ, মোবাঃ ০১৭৩১৪৩৯৩৬২, এনআইডি- ১৯৭১৮৮২৭৮০৬১৩৭৭০৬.

আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের গণতন্ত্রের আশু ভবিষ্যৎ কেমন ও কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? এ প্রশ্ন বুদ্ধিজীবি মহলের আলোচনার বিষয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সাধারনের সোজা সাপটা উত্তর গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ভালো নয়, আর তা তো বোঝাই যাচ্ছে। দেশের গণতন্ত্রের চর্চা ডেঙ্গুজ¦র ও করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত। মাঝে মাঝে ভালো আবার ব্যাপক ভাবে আক্রান্ত। সত্তর থেকে আশির দশক পর্যন্ত দেশ পূর্ণ গঠনের কাজ। আর আশির দশক থেকে দেশ উন্নয়েন জোয়ারে ভাসছে। রাজনৈতিক নেতাদের গাল ভরা বুলি আর গণতন্ত্রের চর্চা যেন একই সুরে গাঁথা। স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারগুলো শুধু গণতন্ত্র দিয়ে আসছে? দেশের আমজনতা তা গলধঃকরন করে গণতন্ত্রের ঢেকুর তুলছে। আমজনতার ঢেকুর এ গলতন্ত্রের গ-ণ-র কোনটারই হদিস নেই। দেশে হরহামেশাই শোনা যেত নব্বই এর পূর্বে এ দেশে কোন গণতান্ত্রিক সরকার ছিল না। ‘৭৫ এ যে সরকার প্রধানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলো তাকেও গণতান্ত্রিক সরকার বলতে কার্পণ্য করতে দেখেছি। সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের সমালোচনা করাই হলো গণতান্ত্রিক রীতি, তবে সেটা হতে হবে গঠনমূলক। বাংলাদেশের জন্ম লগ্ন থেকে বিরোধী দলগুলোর গঠনমুলক সমালোচনা ও আন্দোলন দেখা যায়নি। আবার সরকারী দল ও গঠনমূলক সমালোচনা ও আন্দোলনের পথ দমন নিপীড়নের মাধ্যমে রুদ্ধ করে রেখেছে। ‘৭৫ পরবর্তী দুইটি সামরিক সরকার ‘৯০ এর দশক পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। তাদের কেউই সমালোচনার উর্দ্ধে নয়। তারপরও কিছু কথা থেকে যায়। আর তাহলো গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে কে কতটুকু এগিয়ে নেবার চেষ্টা করেছেন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে শক্তিশালী করবার জন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরন করা আবশ্যক। কিন্তু ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় সরকার প্রধানগণ ক্ষমতার বিন্দ্রেীকরণের দিকে নজর দেন না। ১৯৮২ সালে লে. জে. হুসাইন মোহাম্মাদ এরশাদ সাহেব ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য উপজেলা ও জেলা পরিষদকে ঢেলে সাজানোর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যে পদ্ধতিতে আমলাতান্ত্রিক নির্ভরতা কমিয়ে এনে জনপ্রতিনিধির দ্বারা স্থানীয় উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা। ১৯৯০ সালে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলের জোটবদ্ধ আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন লে. জে. হুসাইন মোহাম্মাদ এরশাদ সাহেব গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। লে. জে. হুসাইন মোহাম্মাদ এরশাদ সাহেবের ক্ষমতা হস্তান্তরের পর তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী তত্বাবধায়ক অস্থায়ী সরকার প্রবর্তিত হয় এবং পবিত্র সংবিধানে ’৭০ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত হয়। এই ‘৭০ অনুচ্ছেদ এর মাধ্যমে একজন রাজনৈতিকের ব্যক্তিস্বত্বা, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়। মূলতঃ পবিত্র সংবিধানে প্রতিস্থাপিত ‘৭০ অনুচ্ছেদ এ কি বলা হয়েছে? ‘৭০ অনুচ্ছেদ এ বলা হয়েছে- ‘কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি (ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোট দান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাহার আসন শুন্য হইবে।

’৭০ অনুচ্ছেদ-এর(ক) ১৯৯৬ সালে কোন এক সংসদ সদস্য সরকারী দলে যোগদানের পর তার সংসদ সদস্যপদ বাতিল হয়। এরপর তিনি সরকার দলীয় প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তী সময়ে প্রতিমন্ত্রীর পদ অলংকিত করেন। তাহলে এই অনুচ্ছেদ-এর কি কার্যক্ষমতা থাকলো? দ্বিতীয় এই অনুচ্ছেদ এর (খ) তে কোন সংসদ সদস্য নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দান করেন তাহা হইলে তাহার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়। এখানে ব্যক্তি জনগনের প্রতিনিধি নয়, দলের প্রতিনিধি মাত্র। শুধুমাত্র একটি প্রতীকের মাধ্যমে ব্যক্তিস্বত্বা ও জনপ্রতিনিধির স্বত্বা দুই-ই বিলুপ্ত হয়। কিন্তু যেখানে প্রতীক পরাজিত হয়, সেখানে বুঝতে হবে ব্যক্তির ব্যক্তিস্বত্বা ব্যক্তি ইমেজও পরাজিত হয়। যদি দলীয় “প্রতীক”ই সর্বেসর্বা হয় তাহলে, দলীয় ইমেজ এর মাধ্যমে ৩০০ আসনেই প্রতীক বিজয়ী হবে। বাস্তব ক্ষেত্রে কিন্তু দলীয় ইমেজ ও ব্যক্তি ইমেজ এই দুই মিলিয়ে প্রতীক বিজয়ী হয়। জনপ্রতিনিধির ক্ষেত্রে দলীয় ইমেজের চেয়ে ব্যক্তি ইমেজই বেশী গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তি যদি তার ব্যক্তি ইমেজ ও জন সম্পৃক্ততা দিয়ে প্রতীক কে বিজয়ী করে নিয়ে আসে তাহলে তার ব্যক্তিস্বত্বা থাকবে না কেন? ব্যক্তি দলের প্রতিনিধি হিসেবে দলীয় প্রতীক নিয়ে জনগনের আস্থা অর্জনে ভোট যুদ্ধে বিজয়ী হয়। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবার পর তিনি আর দলীয় থাকেন না, মুখ্যত তিনি হয়ে যান জনগণের আশা আকাংখার প্রতীক জনপ্রতিনিধি। আর এই জনপ্রতিনিধির যদি স্বাধীন স্বত্বা না থাকে, তাহলে তাকে শৃঙ্খলে বাধা স্বত্বাবিহিন ব্যক্তিকে দলীয় প্রতিনিধি বলা সমীচিন নয় কি? এখানে দলীয় আদর্শচ্যুতির আশঙ্কা থেকে ত্রিদলীয় জোটের রূপরেখার প্রতিফলন ঘটেছে। এই রুপরেখায় জনগণের কোন আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটেনি। সংবিধানের ‘৭০ অনুচ্ছেদ এর মাধ্যমে একজন সংসদ সদস্যের (আইন প্রনেতার) ক্ষমতা খর্ব করে দাসত্বের শৃঙ্খলে বেঁধে রাখা হয়েছে বলে প্রতীয়মান নয় কি? এর পাশাপাশি নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ভোটার জনগণকে তাচ্ছিল্য করা হয় নাই কি? মূলত জনগণ তার অধিকার সুরক্ষার জন্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে সংসদে প্রেরণ করেন। সংসদে যদি একজন সংসদ সদস্য সত্য বলার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন, তাহলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে সংসদ নির্বাচিত করা গণতন্ত্রের পদ্ধতির সাথে তামাশা মাত্র।

সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে সংসদ হলো সরকার পরিচালনার মূল চালিকাশক্তি। এই পদ্ধতিতে সরকার প্রধান সংসদের নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য। এই ‘৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকার প্রধান কতটুকু জবাবদিহি ও দায়বদ্ধতার শিকার হন। আবার ‘৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্য কতটুকু স্বাধীন? সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ ও প্রতিস্থাপিত ‘৭০ অনুচ্ছেদ পরষ্পর স্ববিরোধীও বটে। আবার সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ এ বলা হয়েছে- চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা নিশ্চয়তাদান করা হইল। এখানে ২০১১ সনের ১৪নং আইনের ২৫নং ধারা বলে প্রতিস্থাপিত ‘৭০ অনুচ্ছেদ ব্যক্তির চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েছে কি? গণতন্ত্রের সংসদীয় পদ্ধতির অন্তরালে ‘৭০ অনুচ্ছেদ একদলীয় বা একনায়কতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে নেবার সাংবিধানিক স্বীকৃতি নয় কি?

গণতন্ত্র হলো রাষ্ট্র পরিচালনার একটি ব্যবস্থাপনা মাত্র, যে ব্যবস্থায় জনগনের স্বার্থ সুরক্ষা জনগনের দ্বারাই পরিচালতি হবে। সরকার এখানে জনগনের প্রতিনিধি মাত্র, কাজেই সরকার জনগনের নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে। গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনায় সংসদীয় পদ্ধতিকে বলা হয় অধিকতর জন অংশ গ্রহণ মুলক অর্থ্যাৎ জনগনের খুব কাছের প্রতিনিধি। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এ ব্যবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশ গ্রহণ করে বলে এই ব্যবস্থাকে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রও বলা হয়। সংবিধানে প্রতিস্থাপিত ‘৭০ অনুচ্ছেদ প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের সহায়ক কি? মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শহীনতা, রাজনৈতিক দেউলায়িত্ব ও দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চাহীনতার জন্যই নাগরিক অধিকার খর্ব করে সংবিধানে ‘৭০ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত করেছে বলে অনুমেয় নয় কি? দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা তখনই স্থবির ও অকার্যকর হতে থাকে যখন সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা করার অভাব হয় এবং এতেই রাষ্ট্রের মধ্যে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা ঘনিভূত হয়। দেশে গণতান্ত্রিক চর্চাহীনতা ও জবাবদিহির অভাবে নানা ধরনের সিন্ডিকেট, দূর্ণীতি, অর্থ পাচার নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে জাতির ঘাড়ে চেপে বসে। যে সমস্যা গুলো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মোটেই কাম্য নয়। গণতন্ত্রকে স্থায়িত্বশীল করতে ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখতে হলে জনগন ও রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা থাকা আবশ্যক। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা থাকা আবশ্যক। রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে যদি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা না থাকে, তাহলে দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ব্যহত হয়। ‘৯০ সালের পর জনগনের আশা আকাঙ্খা ছিল রাজনৈতিক নেতা দ্বারা রাষ্ট্র ও রাজনীতি পরিচালিত হবে। ‘৯১ থেকে ‘৯৬ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও সেই সরকারের মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাব পরিলক্ষিত হয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন সংগ্রামে আবারও রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরে আসে। আশাহত সাধারনেরা সহ সুশীল সমাজ প্রাণ ফিরে পায়। এদিকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আমলা ও ব্যবসায়ী শ্রেণী ভিড়তে থাকে। বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো আমলা ও ব্যবসায়ী রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। ‘৯৬ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত আইন পরিষদে অর্থ্যাৎ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ও আমলার সংখ্যা বেশি ছিল। ২০২১ সালে এসেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এর ব্যত্যয় ঘটেনি। সরকারী দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বললেও বাস্তবে কোন রাজনৈতিক দলই রাজনৈতিক সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করেনি। বাস্তবিকপক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা না থাকায় দল সংস্কারে বাধাগ্রস্থ হয়। চলমান গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক সরকার ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়েও জনমনে হতাশার সুর বিদ্যমান। হয়ত গণতন্ত্রের বলিরপাঠা শহীদ নূর হোসেন-এর গণতন্ত্রের বাঁশির সুর হ্যামিলনের বাঁশির সুরের মত ঢেউ তুলবে না। শহীদ নূর হোসেন এর গণতন্ত্রের সুর সংবিধানে প্রতিস্থাপিত ‘৭০ অনুচ্ছেদ-এ এসেই থমকে গেছে। যে গণতান্ত্রিক শাসন ও পরিচালন ব্যবস্থায় জনগন খুব কাছে থাকার কথা, সেই ব্যবস্থায় ত্রুটি রাখার কারনে জনগণ ক্রমশই দুরে সরে যাচ্ছে। একটি ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থা সাংবিধানিক স্বীকৃতির মাধ্যমে যখন রাষ্ট্রীয় আইনে রুপান্তরিত হয়, তার কুফল যে কোন সময়ে রাষ্ট্রায় কাঠামোতে আঘাত হানে এবং সেটি জাতীয় সংকটে পরিণত হয়। জনগণ সংকট থেকে পরিত্রাণ চায়। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আদর্শহীনতা ও রাজনৈতিক দেউলায়িত্ব ঠেকাবার জন্যই যদি ‘৭০ অনুচ্ছেদ এর প্রয়োজন হয়, এর চেয়ে ঢেড় ভালো ছিল আদর্শিক রাজনৈতিক নেতা কর্মী সৃষ্টি করা এবং রাজনৈতিক দেউলায়িত্ব দুর করা। তাহলে হয়ত গণতন্ত্র বিকশিত হত এবং রাষ্ট্র উপকৃত হত। একসময় এ দেশের গণতন্ত্র পান-বিড়ির আমেজের মধ্যে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য ভোট দিতেন। সেটিও আজ হারিয়ে অর্থ বাণিজ্যের গণতন্ত্রে ঠেকেছে। যে গণতন্ত্রের জন্য এত লড়াই সংগ্রাম সে গণতন্ত্রকে ধ্বজাধারী গণতান্ত্রিক সংগ্রামীরা ‘৭০ অনুচ্ছেদ এর মাধ্যমে টুটি চেপে ধরেছে। গণতন্ত্র প্রতিদিনের তা পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিটি কর্মকান্ডে থাকতে হবে। তাহলেই হয়তবা একটি রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকশিত হতে পারে এবং গণতন্ত্রের সুফল সকল মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। আমাদের ভাবতে হবে, বুঝতে হবে কয়েক শতক আমরা পরাধীনতার শিকল পরে ছিলাম। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ ও প্রায় ৩ লক্ষাধিক নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রাম বাঙালী জাতির গৌরবজ্জল শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে ধরে রাখতে হলে গণতন্ত্রের বিকল্প নেই। এরপরও আমরা রিক্ত হস্তে বসে আছি গণতন্ত্রের জন্য। আমাদের মন ও মননের পরিবর্তন ঘটলেই রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোতে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির ধারা অব্যাহত থাকলে সংবিধানে প্রতিস্থাপিত ‘৭০ অনুচ্ছেদ কোন বাধা নয় এমনিতেই এর অবসান ঘটবে। আমরা আজকের জন্য একটি জনকল্যানকর গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির স্বপ্ন দেখি- আর আগামীর জন্য তা বাস্তবায়নের পথে চলি, তাহলেই আমাদের প্রত্যাশিত গণতন্ত্র ফিরে পাব।

add

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
Situs Judi Slot Online

slot demo

Bocoran Admin Jarwo
Slot777
Gates Of Olympus Kakek Zeus x500
Situs Slot777

akun pro malaysia
akun pro jepang

Akun Pro Thailand
Akun Pro Jepang

Akun Pro Jepang
Akun Pro Jepang Gacor
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro

Akun Pro Jepang Gacor
Akun Pro Rusia Gacor
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro

akun pro thailand
akun pro hongkong
akun pro kamboja
akun pro taiwan
akun pro filipina
akun pro malaysia
akun pro myanmar

mahjong ways
pg soft
mega wheel
slot pg soft

Akun Pro Thailand
Akun Pro Malaysia
Akun Pro Jepang
Akun Pro Kamboja
Akun Pro China
Akun Pro Filipina
Akun Pro Rusia
Akun Pro Myanmar
Akun Pro Vietnam
akun pro filipina
akun pro rusia
akun pro myanmar
akun pro vietnam
akun pro filipina
PG Soft
Olympus Slot
Sbobet

daftar akun wso

Situs Judi Slot Online

slot demo

Bocoran Admin Jarwo
Slot777
Gates Of Olympus Kakek Zeus x500
Situs Slot777

akun pro malaysia
akun pro jepang

Akun Pro Thailand
Akun Pro Jepang

Akun Pro Jepang
Akun Pro Jepang Gacor
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro

Akun Pro Jepang Gacor
Akun Pro Rusia Gacor
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro
Akun Pro

akun pro thailand
akun pro hongkong
akun pro kamboja
akun pro taiwan
akun pro filipina
akun pro malaysia
akun pro myanmar

mahjong ways
pg soft
mega wheel
slot pg soft

Akun Pro Thailand
Akun Pro Malaysia
Akun Pro Jepang
Akun Pro Kamboja
Akun Pro China
Akun Pro Filipina
Akun Pro Rusia
Akun Pro Myanmar
Akun Pro Vietnam
akun pro filipina
akun pro rusia
akun pro myanmar
akun pro vietnam
akun pro filipina
PG Soft
Olympus Slot
Sbobet

daftar akun wso