সিরাজগঞ্জে আরএমও এর বিরুদ্ধে এমসি আটকানোর অভিযোগ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ জেলার সদর হাসপাতালের আরএমও এর বিরুদ্ধে এমসি আটকানোর অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধান কালে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর থানাধীন নতুন ভাঙ্গা বাড়ি এলাকায় সরকারি জায়গা বেদখল করে ইটের প্রাচীর নির্মাণ করে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন স্থানীয় প্রভাবশালী মৃত আব্দুর রাজ্জাক সেখের ছেলে মো: আব্দুল খালেক গং। উক্ত রাস্তাটি অবমুক্ত করতে গিয়ে গত ১৩ জুলাই ২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৬.১৫ টার সময় খালেক গংয়ের আব্দুর রহমান রাসেল এর রাম দা এর আঘাতে ভিকটিম শাহিন খানের মাথার বাম পাশ্বে মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত গুরুতর কাটা জখম হয়। পরবর্তীতে ভিকিটমকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে এবং ভিকটিমের বাবা কোর্টে মামলা করেন। ভিকটিম উক্ত হাসপাতালে চারদিন ভর্তি থেকে নোংরা পরিবেশের কারনে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে অন্যত্র চিকিৎসকের পরামর্শ মতে চিকিৎসা করতে থাকেন। অপরদিকে মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা আইনানুগ ভাবে জখমীর এমসির জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন প্রেরণ করেন। কিন্তু বিপরীত পক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ ফরিদুল ইসলাম এর সহযোগিতা চান। তখন আরএমও সাহেব জরুরি বিভাগের সকল ডাক্তারদের মৌখিক ভাবে জানান ভিকটিম শাহিন এর এমসি যেন সিম্পল দেয়া হয় এবং কোন গুরুতর জখম যেন না উল্লেখ করা হয়।। অনুসন্ধান কালে জানা যায়, ঘটনার দিন জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জরুরি বিভাগের ডাক্তার রোকনুজ্জামান ও ডাক্তার শামীমুল ইসলাম। ডাক্তাররা রোকনুজ্জামান জরুরী ময়না তদন্ত কাজে ব্যস্ত থাকায় ভিকটিম শাহিনকে ভর্তি করেন ডাক্তার শামীমুল ইসলাম। পরবর্তীতে ডাক্তার শামীমুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমরা ডাক্তার। রুগীদের সেবা ও চিকিৎসা করা আমাদের ধর্ম। ঘটনা কোথায় কি হয়েছে তা আমরা যাছাই করতে যাই না। তবে এক্সিডেন্ট বা মারামারির রুগী আসলে তাদের পুলিশ কেস রেজিস্ট্রারে নোট রেখে রুগীকে ভর্তি বা রেফার্ড করি। আর মামলা হলে এমসির আবেদন পেলে আমরা এমসি মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে আরএমও সাহেবকে বোর্ড চেয়ারম্যান হিসেবে রেখে এমসি প্রদান করি। ভিকটিম শাহিন খান এসে জানিয়েছিল মারামারিতে মাথায় কোপ দিয়েছে। জরুরি ভাবে সে প্রথমে একটা ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে আসে। তাকে দেখে আমি ভর্তি করিয়ে নেই। তার মাথায় সাতটা সেলাই ছিল।। এমসির আবেদন আসার পুর্বেই ভাই (আরএমও) আমাদের সকল জরুরি বিভাগের ডাক্তার দের জানান মুক্তি যোদ্ধা দের তদবির আছে কেউ এই ভিকটিমের গ্রিভিয়াস এমসি দেবেন না। আবেদন এসেছে সিম্পল এমসি দেবেন।। অপরদিকে অনুসন্ধানে জানা যায় ভিকটিমের আপন চাচাও একজন বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু বিপার্টি তাকে ভুয়া মুক্তি যোদ্ধা বলে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে। আরএমও সাহেবের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে তাকে লাইনে পাওয়া যায় নাই।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনুসন্ধান কালে আরো জানা যায় আরএমও সাহেব স্বার্থের জন্য প্রকৃত ঘটনা চাপা দিয়ে নিজস্ব ক্ষমতার অপব্যবহারে দিনকে রাত ও রাতকে দিন বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আরএমও হিসেবে নিয়োজিত থেকে আড়ালে অবৈধ এমসি বানিজ্য করে যাচ্ছে। অনুসন্ধান টিম লেগে আছে।