মোঃ মাহবুবুল আলম খান
সিরাজগঞ্জের ছয় উপজেলায় গত ১৮ ঘণ্টায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির ২০ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলা বিএনপি নেতাদের দাবি, তাঁদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই।
১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুক্রবার সদরের পৌর ভাসানী মিলনায়তনের সবুজ চত্বরে জেলা বিএনপি এক সমাবেশের আয়োজন করে। বিএনপির ডাকা এ সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে বলে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশ অভিযান চালায়। এ ১৮ ঘণ্টায় জেলার ছয়টি উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ২০ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১৮ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি অমর কৃষ্ণ দাস, সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাদল মন্ডল, কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, শহরের ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লার যুবদল নেতা মামুন, সলঙ্গা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম এলাহী, হাটিকুমরুল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম, চান্দাইকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল আলম, তাড়াশ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ ফকির, শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, একই ইউনিয়নের যুবদলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা শাফিকুল ইসলাম, বেলকুচি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব বুলবুল আহমেদ, এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাকিব আল হাসান, ছাত্রদল নেতা কাউসার সরকার ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আমির সরকার।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘সারা দেশেই বিএনপির নেতা–কর্মীদের নামে গায়েবি মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে। আমাদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই, এমন কয়েকজন নেতা–কর্মীকেও আটক করা হয়েছে।’
সাইদুর রহমান বলেন, বিএনপির ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২৬ মে জেলা বিএনপির উদ্যোগে জেলা সদরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। ওই সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য সারা জেলায় এমন ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, নির্দিষ্ট মামলার ভিত্তিতেই বিএনপির চার নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের নামে অতীতের বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে।
সদর থানার পরিদর্শক নান্নু খান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কয়েকটি করে মামলা রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল ইসলাম বলেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় ২০ জন বিএনপি নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বিনা অপরাধে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।