মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলের বিরুদ্ধে বালুবাহী বাল্কহেড থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে চেয়ারম্যান পুত্রসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে মের্সাস সরকার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রাজু আহম্মেদ।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আন্ধার মানিক ঘাট থেকে পদ্মা নদীতে চলাচলরত বালুবাহী বাল্কহেড থামিয়ে চাঁদাবাজি করে চেয়ারম্যান পুত্র নবীনুর রহমান। তার নেতৃত্বে রয়েছে বিশাল জলদস্যু বাহিনী। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে স্পীডবোর্ড ব্যবহার করে নদীতে জোরপূর্বক বালুবাহী বাল্কহেড আটকিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে সুকানীদের মারধর করে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
এস এস তদবির বাল্কহেডের সুকানী মো. বাবু বলেন, গতকাল সোমবার রাত ৯ টায় আমার বাল্কহেড আটকিয়ে রাখা হয়েছে। জোরপূর্বকভাবে এখান থেকে আমাকে বালু নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। গতকাল থেকে এখন আমি পর্যন্ত হরিরামপুরের আন্ধার মানিক ঘাটে অবস্থান করছি। আমাদের মালিক বাহিরে রয়েছে। আমি এখন টাকা পাব কোথায়। নিরুপায় হয়ে এখানেই আছি।
মের্সাস সরকার এন্টারপ্রাইজের প্রো. রাজু আহম্মেদ বলেন, আমি একজন বৈধ বালু ব্যবসায়ী। সিরাজগঞ্জ উপজেলার সরকারি ইজারা প্রদানকৃত বালু মহল থেকে বালু উত্তোলক করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারের মেঘা প্রকল্পে দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে বাল্কহেডের মাধ্যমে বালু সরবরাহ করে আসছি। হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে আমার বৈধ বাল্কহেড আটকিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে আমার বাল্কহেড আটকিয়ে রাখা হচ্ছে, এমনকি আমার লোকজনদের মারধর করে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এতে আমার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
এপ্রসঙ্গে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের ছেলে নবীনুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার সত্যতা নেই। আপনি সত্যতা পেলে আমাকে জানাবেন।
এ বিষয়ে পাটুরিয়া ঘাট নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। যদি কোন ব্যক্তি নদীতে চাঁদাবাজি করে তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার আদিত্য বলেন, নদীতে যেসকল বাল্কহেড চলাচল করে সবাইকে অবগত করা আছে। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করে তাহলে তাদের বিরুদ্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বিপিএম বলেন, আমি এখনো লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি। ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে এখনই মামলা নেয়া হবে।