মোঃ মাহবুবুল আলম খান
চলনবিলে নৌকা ভ্রমণের নামে চলছে অশ্লীলতা ও অসামাজিক কার্যকলাপ। এতে ক্ষুব্ধ চলনবিলে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা ভ্রমণ পিপাসুরা।
সরেজমিনে চলনবিলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গিয়ে দেখা যায় বেশিরভাগ ভ্রমণ নৌকার সামনে অশ্লীল পোশাকে নাচছেন নর্তকীসহ হিজড়ারা। আর এদের সঙ্গে নৌকায় নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করে নাচছেন কিশোর-যুবকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব নর্তকী ও হিজড়াদের অন্য জায়গা থেকে টাকা দিয়ে এনে অবৈধ এমন কর্মকাণ্ড চালায় ভ্রমণে আসা যুবকরা। নর্তকী ও হিজড়া থাকা নৌকাগুলোর বেশিরভাগ অংশই ছাউনি দেওয়া। আর দিনে নাচের মাধ্যমে আনন্দ দিলেও রাতে ঘটছে অসামাজিক কার্যকলাপ। বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিনই ছোট-বড় অসংখ্য ভ্রমণ নৌকা চলে নদীতে। কিন্তু নৌকা ভ্রমণের নামে নদীতে বাজানো হয় অতিরিক্ত শব্দে গান-বাজনা।
হিন্দি ও ডিজে গানের তালে তালে চলে অশ্লীল নৃত্য, অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক সেবন। ফলে নৌকা ভ্রমণের নামে অপসংস্কৃতির চর্চা, শব্দদূষণ ও মাদকের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে।
পরিবেশকর্মী ও শিক্ষক সোহেল আহমেদ জীবন জানান, দিনে নৃত্যের মাধ্যমে আনন্দ দিলেও রাতে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয় অনেকেই। যেকোনো সময় যৌন নিপীড়ন, নৌকাডুবি, হানাহানিসহ নানান অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
চলনবিলের গবেষক ও কবি সৌরভ সোহরাব বলেন, নৌকাভ্রমণের নামে চলে নানান অসামাজিক কার্যকলাপ। দিনরাত মাত্রাতিরিক্ত শব্দে গান-বাজনা বাজিয়ে চলে নৌকা। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নর্তকী ও হিজড়ারা নৃত্য করে। অপসংস্কৃতি রোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সিংড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. এমরান আলী রানা বলেন, চলনবিলে নৌকা ভ্রমণের নামে চলা অশ্লীলতায় ডুবছে যুব সমাজ। ফলে অভিভাবকরা উঠতি বয়সের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ও নৈতিক অবক্ষয় নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণাত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, চলনবিলে অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।