মোঃ মাহবুবুল আলম খানঃ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ঢাকা বগুড়া মহাসড়কের জেলার সলঙ্গা থানাধীন ভুইয়াগাতী বাসস্ট্যান্ড ও রায়গঞ্জ থানার ষোল মাইল ও ওমরের ছমিল হয়ে পার্শ্ব রাস্তা রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া পৌরবাসষ্ট্যান্ড ও লক্ষীকোলা এবং হাটপাঙ্গাসী বাজার হয়ে সদর উপজেলার বহুলী বাজার হয়ে কাঠেরপুলগামী লোকাল রাস্তাটিতে রাতে চলছে দূরপাল্লার গাড়ীর বহর। সরেজমিনে দেখা যায় রাত ১২ টার পর হইতে এই রুটে চলছে মহাসড়কে চলাচলরত হানিফ, ডিপজল, শ্যামলীসহ বিভিন্ন কোম্পানির যাত্রীবাহি বাস, মুরগির পিকআপসহ বিভিন্ন বড় বড় গাড়ি। যার ফলে লোকাল রাস্তাটি দিন দিন অকেজো হয়ে পড়ছে। পাঙ্গাসী বাজারের আশপাশসহ পাঙ্গাসী ইছামতি নদীর ব্রীজের মাথাসহ কয়েকটি ব্রীজের মাথায় রাস্তা ধ্বসে পড়ছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানবাহনের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা। দিনের বেলায় ছোট ছোট যানবাহন গুলি চলতে পড়ছে প্রতিবন্ধকতায়। ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আঃ সালামসহ এলাকার খেটে খাওয়া অনেকেই জানান রাস্তার ধারে বাড়ি যাদের রাতে গাড়ির শব্দে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং রাস্তাটির জায়গা জায়গায় গর্ত হয়ে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে চলাচলের ব্যাঘাত হয়। মাঝে মাঝে দিনের বেলায়ও বড় বড় গাড়ি এই রাস্তায় আসলে পাঙ্গাসী বাজারে হয় বড় ধরনের যানজট। দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয় জনসাধারণের। এলাকার গণমানুষের দাবী হয় রাস্তাটি বড় বড় গাড়ি চলাচলের উপযোগী করে দিতে হবে না হয় এই রাস্তায় বড় বড় গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। গভির রাতে কয়েকজন চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, মহাসড়কে জ্যাম হওয়ায় তারা বিকল্প হিসেবে রাস্তাটি বেছে নিয়েছে। তাছাড়া এই রাস্তায় মহাসড়কের চেয়ে প্রায় এক ঘন্টা সময় কম লাগে মুলিবাড়ি হতে বগুড়া যেতে। সলঙ্গা, রায়গন্জ ও সিরাজগঞ্জ থানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জানা জানা যায়, রাতে পেট্রোল গাড়ি ডিউটিতে থাকলে এই রুটে গাড়ি তেমন যায় না। কিন্তু অনেক গাড়ি পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল করে। রাতে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। কিন্তু থানা পুলিশ সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছে রাস্তাটি রক্ষা করতে এবং রাতে অনেক গাড়ি ঘুরিয়ে পর্যন্ত দিচ্ছে। মাঝে মাঝে পুলিশের পেট্রোল গাড়ি জরুরি ভাবে অন্যদিকে গেলে বড় বড় গাড়ির চলাচল বেড়ে যায় এই রুটে। অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হতে বেশি সময় লাগবে না। যে গাড়ির জন্য যে রাস্তা তৈরি হয়েছে সেই রাস্তায় সেই গাড়ি যাওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।