মোঃ মাহবুবুল আলম খান (মুরাদ)ঃ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলাস্থ্য ০২নং সোনাখাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত নিমগাছী (বিলেরপাড়) গ্রামে এক গৃহবধু খুন হয়েছে। স্থাণীয় লোকজন, রায়গঞ্জ থানা পুলিশ, বাদীর তথ্য এবং সরজমিনে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলাধীন সিরাজগঞ্জ সদর থানার অন্তর্গত ছোনগাছা ইউনিয়নের ০৬নং ওয়ার্ডের টুকরা ছোনগাছা গ্রামস্থ্য জনৈক মোঃ আব্দুল রশিদ আজাদ এর মেয়ে নারগীছ(৪৫) কে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে বিয়ে করেন সিরাজগঞ্জ জেলাধীন রায়গঞ্জ থানাধীন সোনাখাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত নিমগাছী বিলের পাড় গ্রামস্থ্য মৃতঃ তছির উদ্দিন এর ছেলে মোঃ রেজাউল করিম এবং তাহাদের সংসার জীবনে মোঃ নাজমুল সরকার(১৩) নামের একটি পুত্র সন্তান আছে। নারগীছ এর বিয়ের পর হইতেই তাহার স্বামী মোঃ রেজাউল করিম উক্ত নারগীছকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করিয়া আসিতেছিল। এমতাবস্থায়, ইং ১৮/০৩/২০২২ তারিখ রাত অনুমান ০৮.৪৫ ঘটিকার সময় রায়গঞ্জ থানাধীন সোনাখাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত নিমগাছী বিলের পাড় গ্রামস্থ্য মৃতঃ তছির উদ্দিন এর ছেলে মোঃ রেজাউল করিম এর বসতবাড়ীর দক্ষিণ পার্শ্বে টিউবয়েল পাড়ের সামনে ফাঁকা জায়গায় উক্ত রেজাউল করিমসহ তার সহযোগীগন উক্ত নারগীছকে অতর্কিত ভাবে ঘিরিয়া ধরিয়া বাঁশের বাতা দিয়া মাথার উপরি ভাগে ফাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম, বাম কানে, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরবর্তীতে নারগীছ এর ছেলে মোঃ নাজমুল সরকার ও তার স্বামী মোঃ রেজাউল করিম লোকজনের সহযোগীতায় নারগীছকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য স্থাণীয় নিমগাছী বাজারে মায়ের দোয়া হাসপাতালে নিলে উক্ত হাসপাতালের চিকিৎসকগণ নারগীছকে আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখিতে পাইয়া দ্রুত তাহাকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করিলে নারগীছ এর ছেলে মোঃ নাজমুল সরকার ও তার স্বামী মোঃ রেজাউল করিম লোকজনের সহযোগীতায় নারগীছকে দ্রুত সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করিয়া তাহাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহিদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মাথায় গুরুতর ফাটা জখমের ফলে তাহার অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হইয়াছে। তাহার অবস্থা খুব একটা ভালো না। চিকিৎসকের উক্ত কথা শুনিয়া মোঃ রেজাউল করিম উক্ত হাসাতাল হইতে পালাইয়া যায় এবং নারগীছ এর ছেলে মোঃ নাজমুল সরকার নারগীছকে বগুড়া হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে নারগীছ মৃত্যুবরণ করে। রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর/ মোঃ শহিদুল ইসলাম সকালে জানান তিনি ঘটনার বিষয়ে সকালে অবগত হয়েছেন। তবে লিখিত কোন এজাহার বা অভিযোগ পাইলে সে বিষয়ে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে। অফিসার ইনচার্জ আরো জানান, মৃতার মৃতদেহের সুরতহালসহ মৃতার মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাব-ইন্সপেক্টর/ মোঃ হুসাইন আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। তৎপ্রেক্ষিতে সাব-ইন্সপেক্টর/ মোঃ হুসাইন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশনা মোতাবেক সঙ্গীয় ফোর্স ও নারী কং নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতার মৃতদেহের সুরতহাল করেন। সুরতহালকালে মৃতার মাথায় গুরুতর ফাটা জখম, বাম কানে, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম পরিলক্ষীত হয়েছে। সুরুতহাল শেষে মৃতার মৃত্যুর সঠিক কারন নির্ণয়ের জন্য মৃতার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল, সিরাজগঞ্জ বরাবর প্রেরণ করা হইয়াছে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে মৃতা নারগীছ এর ভাই মোঃ তৌফিক আহেম্মেদ বাদী হয়ে মোঃ রেজাউল করিমসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে রাতে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন এবং রায়গঞ্জ থানা পুলিশ মৃতার স্বামী মোঃ রেজাউল করিমকে হেফাজতে গ্রহণ করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলিতেছে।