২১ মার্চ পিতৃবিয়োগ এর দিন, একইসাথে তার জন্মদিন। একদিকে হারাবার বেদনা, অন্যদিকে পৃথিবীতে আসার আনন্দ। বলছি অভিনয় শিল্পী ও উপস্থাপক শফিউল আলম বাবু’র কথা। আলো ঝলমলে এমনই দিনে তিনি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন আবার একইদিনে বাবাকেও হারান। তাই তার জীবনের আনন্দআলোও উজ্জ্বল হতে-হতেই ম্লান হয়ে যায়।
জীবনের এই প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি সম্পর্কে বাবু জানান- কি এমন হতো যদিনা আজো বাবাকে কাছে পেতাম। আমিও বাবা হয়েছি (এক পুত্র ও এক কন্যার জনক) বাবার গুরুত্ব বুঝি। কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার বাবা চলে গেলো। যদিও আমার মা কখনোই বাবার অভাব বুঝতে দেয়নি। তবুও বাবা অথবা মা’এর স্থান কেউই পূরণ করতে পারেনা। বাবা হলো বটবৃক্ষ আর মা হলো শীতল ছায়া। কেউ কারো পরিপূরক হতে পারেনা। তবুও বাবা বিহীন জীবনকে টেনে নিয়ে চলেছি।
আমার বাবা ছিলেন সুঠামদেহী, মেদহীন এক চমৎকার ব্যক্তিত্বের অধিকারী পুরুষ। আমি তাঁর কানাকড়িও পাইনি। এখনো মনে হয়, হঠাৎ যেন বাবা পেছন থেকে কাঁধে হাত রেখে বলছেন-কিরে খোকা সারাদিন কোথায় ছিলি, কত টেনশন হয়েছে জানিশ? অকষ্মাত পেছনে তাকাই, কাউকে খুঁযে পাইনা। তখন চিৎকার করে বাবাকে ডাকতে ইচ্ছে করে, বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে। কাউকে কিছু বলতেও পারিনা, এ যে কি কষ্ট বোঝাতেও পারবো না। বাবার জীবদ্দশায় তিনি মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে দিতে লিভার সিরোসিসে মাত্র ঊনষাট বছরে নিজেই ওপাড়ে পাড়ি জমিয়েছেন।
সদালাপী, নিরহংকারী শিল্পী সত্ত্বাময় বাবু সবার কাছে তাঁর বাবার জন্যে প্রার্থনা কামনা করেছেন। একইসাথে তার জন্ম যেন মানবসেবায় উৎসর্গ করতে পারেন, সে জন্য সকলের দোয়া কামনা করেছেন।